মিস ইউ জানু

 


 

মিস ইউ জানু-১

মাহামুদুল হাসান অয়ন


পাখিরা গান গায়, গল্প করে

প্রজাপতি তা শুনে যায় উড়ে।


আকাশে চাঁদ নয়, সূর্য ওঠে

মনেরেই আঙিনায় ফুল ফোটে।

রাখালেরা গরু নিয়ে যায় ছুটে

দেখে মোর দৃষ্টি ভ্রম যায় কেটে।


হঠাৎ ই বলবো হেঁসে মনটাকে

তুই বড় শান্ত ছেলে “ফুটফুটে”!

  

দেখলি বুঝলি না তোে ঐ তাকে,

কবে তুই বলবি হেঁসে তার চোখে-


তুই মোর সোনার তরি,   সপ্নপুরি

তুই মোর সাত রাজার ধন, রাজকুমারী

তুই মোর নীল আকাশের আজব ঘুড়ি

তুই মোর জন্য এক রূপসী পরী।


তোর কথা ভেবে মন যায় উড়ি

কবিতায়, ছড়ায় তাই তোকে রচনা করি।



                                                                

এভাবে কবিতাগুলো হয়তো সারাজীবন ভালোবাসার মায়া আগলে ধরেই রয়ে যায়। তারাও চায় মায়ার বন্ধনে ভালোবাসার মানুষগুলোকে শক্ত করে আকড়ে ধরতে। কিন্তু কজনই বা পেরেছে, আর কজনই বা পারবে? কথাটা শুনতে কটু হলেও এটাই সত্যি যে ভালোবাসাময়ী পৃথিবী এখনো খুঁজে ফিরছে তার আপন ভালোবাসাকে। তাইতো হাজারো ভালোবাসার গল্পগুলোতে নিষ্পাপ চোখ গুলো  ভিজে ওঠে জলে। এখন যে ভালোবাসা সেটাকি সত্যিই নিষ্পাপ নাকি বড্ড সেকেলে। আচ্ছা! তাহলে কি ভালোবাসা হারিয়ে গিয়েছে? না, যায়নি! আর যাবেওনা কোনো কালে। তা ভেবেই কবি হয়তো নিচের কবিতাটা লিখেছেন-




মিস ইউ জানু-২

মাহামুদুল হাসান অয়ন



আমি যাকে লাভ করি সে যেনো
 সত্যিকারের একটা  রূপসী পরী।

কল্পনাতেও তার দেখা মেলে!
সে যদি জানতো এই ছেলে?
হয়তোবা দাঁড়িয়ে থাকতো ঐরেলে,
আমি দেখতাম তাকে দু’চোখ খুলে।

আমি যাকে পছন্দ করি-
তার সৃষ্টিতে নেই কোনো জুড়ি!
খোদার স্পর্শে সে হয়েছে রূপসী পরী!
আমি তাকেই লাভ কর।

তাকে দেখলে মোর চোখ জুরাই!
শুনলে মোর কথা হারায়।

হয়তো সে আমায় ছাড়ায়
নীল আকাশে ঘুড়ি উড়ায়।

সেই আকাশের বিশালতা!
সেটা আরেক রূপকথা।

তবে আকাশ আমি, বন্ধু তুমি
ছেড়ে যাবেনা তো আমায়?
দিবে না তো কষ্ট?

জানো, তোমার জন্য ঐ নীল ঘুড়ি
অনেক বেশী যতন করি।

বিশ্বাস করো বন্ধু তোমায়
বড্ড বেশীয় লাভ করি।

আই মিস ইউ জানু!
আই রিয়্যালি মিস ইউ!



সত্যিকারের ভালোবাসা সত্যিই অদ্ভূদ রকমের শান্তি দেয়। সত্যিকারের ভালোবাসা গুলো বেঁচে থাকার শক্তি জোগায়। কেউ হয়তো সত্যিকারের ভালোবাসার খোঁজ পায় আবার কেউ হয়তো পায়না। তবে সত্যিটা কি জানেন। প্রত্যেকের জীবনের কোনো না কোনো দিন সত্যিকারের ভালোবাসা একবার না, একবার হলেও ধরা দেয়। কেউ সেই ভালোবাসা গুলোকে আগলে ধরে রাখতে পারে। আর কেউ সেটা পারেনা। অদ্ভূদ মানুষগুলোর সাথে প্রকৃতিও তাই অদ্ভূ আচরণে লিপ্ত হয়। তবে সব প্রতিকূলতা ঠেলে যারা তার ভালোবাসার কাছে পৌঁছাতে পারে তারায় রচনা করে সত্যিকারের ভালোবাসা, তাদের দ্বারায় রচিত হয় নতুন গল্প নতুন ইতিহাস। বেঁচে থাক ভালোবাসা বেঁচে থাক ভালোবাসময়ী পৃথিবী।