আমার গল্প-১
মাহামুদুল হাসান অয়ন
আমি কিন্তু জ্ঞানী নই,
তবে জ্ঞানীর মতই করি অভিনয়।
আমি কিন্তু মহা কবি নই,
তবে কবিতা লিখি আমি ছলনায়।
আমি কিন্তু মহা পন্ডিতও নই,
তবে তা হওয়ার একান্ত ইচ্ছা আমার সাধনায়।
হ্যাঁ! আমি কিন্তু এতো ভালো মানুষও নই,
তবে ভালো মানুষ হবার একান্ত চেষ্টা আমার প্রেরণায়।
তাই ভাবলাম জ্ঞানী, পন্ডিত আর ভালো-
মানুষের একটা মহৎ গুন
আজ বন্ধুরা তোমাদেরকে শুনায়,
পারলে মনে রেখো আমায়।
হ্যাঁ! বিশ্বাস আর সন্দেহ রেখে দিও স্মৃতির পাতায়
দেখবে একদিন আমার এ নাম আছে তোমার খাতায়।
সত্যি বলছি বন্ধু
বড্ড বেশীই ভালোবাসি তোমায়!
বড্ড বেশীই ভালোবাসি তোমায়!
তুমি যদি হও আমার গল্পের বউ
আমি হবো জামায়!
সেদিনের অপেক্ষায় রইলাম প্রিয়,
ভালোবাসি যে তোমায়।।
নিজের কথাতো হাজারো স্মৃতি ঘেরা সপ্নের মাঝেও অপরুপ সৌন্দর্য নিয়ে আমাদের মনে ধরা দেয়। কেউ তা প্রকাশ করতে চায়, কেউবা চাইনা। তবে তা প্রকাশ করালেই যে সার্থক, আর প্রকাশ না করলে তার দ্বারা কিছু হবেনা তেমনটা কিন্তু নয়। প্রত্যেকেরই নিজেস্ব স্বকীয়তা আছে, শক্তি আছে, ক্ষমতা আছে। সেই বলটাকে তুচ্ছ মনে করোনা। একদিন হয়তো যাকে তুচ্ছ ভাবছো তাকে নিয়েই তুমি গর্ববোধ করবে। তার জন্যই হয়তো কবি নিজেকে আবারো সবার সামনে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। নিজেই দিয়েছেন নিজের নানা উপমা। চলুন দেখে আসি কবির নিজেকে নিয়ে লিখা আরো একটি ছন্দ আরো একটি কবিতা।
আমার গল্প-২
মাহামুদুল হাসান অয়ন
কারো উপকার করতে গিয়ে ক্ষতি করি
কারো সাঙ্গে বাজি জিততে গিয়ে যুদ্ধে লড়ি।
কারো নাটায় ছাড়া সুতই ঘুরি
কারো মুখে বাকা চাঁদের ফুল ঝুড়ি।
খুব বেশি যতন করি,
তাই এতো বাইনা ধরি।
মাও আমায় দেয় ঝারি,
তবু তাকে লাভ করি।
গল্প করি, আঁচল ধরি
বাবাকে খুব শ্রদ্ধা কারি।
বোনের সাথে খুঁন শুটিতার ভান করি,
বড্ড বেশিই লাভ করি।
আমি তোকে বড্ড বেশিই লাভ করি।
প্রতিটি ভালোবাসার গল্পটা শুরু হয় পরিবার থেকে। সেখান থেকেই শিশু শিখে কীভাবে দায়িত্ব নিতে হয়, কিভাবে সবার সাথে মিলেমিশে চলতে হয়। হাসিঁ তামাশার মাঝেও শিশু খুঁজে নেয়। তার অবুজ মস্তিষ্কের ঠিকানা। একসময় সে বড় হয় তার নিজ গুনে। সাথে গুনান্বিত করে তার পরিবারকে। কজনইবা পারে তার বাচ্চাকে সঠিক রূপে ভালোবাসা দিয়ে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আসুন কবির মতো প্রত্যেকেই নিজের জীবন সাজাই, পরিবারের পাশে থাকি। আর সুস্থ সুন্দর ভাবে বেড়ে উঠতে নিজ শিশুকে সাহায়তা করি।
Social Plugin