স্মৃতি ঘেরা সেই দিনগুলি

 


 

স্মৃতি ঘেরা সেই দিনগুলি-১

মাহামুদুল হাসান অয়ন


স্কুলের সেই দিনগুলি
সেই কথামালা সেই বুলবুলি,
সেই বন্ধু মহলে রসের ঝুলি।

শিক্ষকদের শাসনের হ্রেস না যেতেই
নিমিষেই কুলাকুলি
স্কুলের সেই দিনগুলি।

দুষ্টামি, ফাজলামি, খঁনসুটিতার ভান সবই
মিষ্টি কথা কৌতুহল, ছিলাম মোরা একটি দল
কোথায় পাবো সেই দিনগুলি?
সেই কথামালা সেই বুলবুলি।

সবুজাভ মাঠ গগন ললাট
পদ্ম ফুলের তৃষ্টা বেশ,
গ্রামের সেই বন্ধু মহল
শহরের ঐ কোলাহল
পাইনা খুঁজে এখন শেষ।

হ্যাঁ! আবার হবে নতুন করে
ঐ কলেজের হাতটি ধরে,
কিন্তু সেই বন্ধু মহল আর পাবোনা 
নতুন করে।




দশটি বছর নানা চড়ায় উতরায় এভাবেই পার হলো। এর মধ্যে হরেক রকম বন্ধু আসলো, বন্ধু গেলো। ততোদিনের নানা অভিজ্ঞতা আর জ্ঞানের আলো। আকাশ ছোয়ার গল্প গুলোকে ছুঁয়ে দেখার ভরসা পেলো। আবার কি সেই বন্ধু মহোল চট জলদি ফিরবে বলো? এরই মাঝে-




স্মৃতি ঘেরা সেই দিনগুলি-২

মাহামুদুল হাসান অয়ন

 

হঠাৎ করেই শুভেচ্ছাটা চলে এলো
অবশ্য এতটা বছর মনটি তার অপেক্ষায় ছিলো।
বন্ধু মহলে আমি হলাম
সূর্যি মামা, চাঁদের আলো।

আসলো গেলো চোখ জুরালো
বিভিন্ন মাধ্যমে সবাই আমার মন মাতালো।

খোদার কাছে হাজার শুকুর
এই আদুলটার এমন কতোগুলো
দুষ্ট মিষ্টি বন্ধু ছিলো।

দিনের শুরুটা যেমন ছিলো
শেষটা আরো রঙিন হলো!

স্মৃতির রেখায় সবই যেনো নীল
আকাশের রঙিন ধুলো।

হ্যালো! বন্ধুরা শুনতে পাচ্ছিস, “হ্যালো!”
তোরা হাজারো দুষ্ট হলেও
তোরা অনেক ভালো রে
তোরা অনেক ভালো।


তোদের মতো বন্ধু পেয়ে, জীবন ধন্য হলো।





প্রথম কবিতাটা লিখেছিলাম ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চে বসে। শেষ ক্লাস শেষ দিন শেষ সময়! আর মাত্র কিছুক্ষন পরই আলাদা হয়ে যেতে হবে প্রান প্রিয় বন্ধুদের থেকে। যেনো কোনোকিছু কল্পনায় করতে পারছিনা। এতোটা অসহায় এবারই প্রথম অনুভব করছিলাম। মনে হচ্ছিলো আমার জীবন থেকে খুব প্রিয় কিছু মানুষগুলোকে হরিয়ে ফেলছি। তাদের স্মৃতিটাকে আকরে ধরে রাখার জন্য আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। 





দ্বীতিয় কবিতাটি লেখা হয় প্রায় দশ বছর পর। যা প্রথম কবিতাটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। দ্বিতীয় কবিতাটা লিখেছিলাম কিছুটা অবাক, হতবিহম্বল হয়ে। পুরোনো বন্ধুগুলোর দেওয়া সাপ্রাইজ আমাকে শুধু অবাকই করেনি, আমাকে শক্তি যুগিয়েছে সামনে এগিয়ে যাবার। তারা সবাই মিলে আমাকে কোনো একটা স্পেশাল দিনে একসাথে হয়ে আমার সামনে এসে দাঁড়ায়। যার প্রতিক্ষায় আমার মন দশটি বছর কাটিয়ে দিয়েছে।  সেদিন জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম যদি পারি তোদের জন্য আমি অবশ্যয় কিছু করবো। হয়তো! তেমন কিছুই করতে পারিনি। কিন্তু এই কবিতার মধ্যে যতো আবেগ যতো ভালোবাসা সব কিছু তোদের জন্যরে, আমার পাগল বন্ধুগুলো। তোদের জন্যই আজ আমার এই ক্ষুদ্র সৃষ্টি উৎসর্গ করলাম।