দ্বীন নাকি ‍সৌন্দর্য

  

ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল রাহিমাহুল্লাহ'র সুন্দর একটা কথা আছে। তিনি বলেছেন,

'বিয়ে করার সময় প্রথমে কেউ যেন সৌন্দর্য দেখে নেয়। সৌন্দর্য দেখে যদি পছন্দ হয়, তবেই যেন দ্বীন যাচাই করে। কারণ, সৌন্দর্য দেখে পছন্দ হওয়ার পরে দ্বীন দেখে যদি পছন্দ না হয়, তখন যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাহলে দ্বীন প্রত্যাখ্যান হওয়ার সুযোগ থাকে না। কিন্তু, যদি সবকিছুর আগে দ্বীন দেখা হয়, এবং দ্বীন পছন্দ হলে যদি সৌন্দর্যের দিকটা দেখা হয় আর তখন যদি সৌন্দর্য দেখে পছন্দ না করে, এবং প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেয়, তখন সেখানে সৌন্দর্য নয়, বরং দ্বীনটাই প্রত্যাখ্যাত হয়ে যায়'।

মানে হলো, কোথাও বিয়ে করতে গেলে আগে সৌন্দর্য দেখে নিবেন। ছবির মাধ্যমে কিংবা দরকারে সাক্ষাত করে। অতি-অবশ্যই ঘরোয়াভাবে, মেয়ের মাহরামের উপস্থিতি রেখে।

যদি সৌন্দর্য পছন্দ হয়, তাহলে দ্বীনের দিকটার খোঁজখবর  নিতে হবে।

যদি দেখা যায় যে, সৌন্দর্য আছে কিন্তু দ্বীন নাই, তখন যদি 'না' বলে দেন, তাহলে সৌন্দর্যটা প্রত্যাখ্যাত হয়, দ্বীন নয়। কারণ দ্বীন তো ছিলোই না।

তবে, যদি আগে দ্বীনের খোঁজখবর নিয়ে দ্বীন পছন্দ হয়ে যায়, এরপর যখন চেহারা দেখতে গিয়ে অপছন্দ করা হয়, তখন যদি প্রস্তাবে 'না' বলে দেন, তাহলে মূলত প্রত্যাখ্যাত হয় দ্বীনটাই, সৌন্দর্য নয়। কারণ, সৌন্দর্য তো ছিলোই না।

নোট-০১

সৌন্দর্য মানে শুধু চেহারার ফর্সা রং নয়। লাবণ্যতা, লাজুকতা, কোমলতা এগুলোও সৌন্দর্যের বিরাট অংশ।

নোট-০২

এখানে ছেলে-মেয়ে দুজনের কথাই বলা হয়েছে। দুজনের-ই অধিকার আছে জীবনসঙ্গীকে পছন্দ করে নেওয়ার।

আপনারা যারা বিয়ে করতে যাচ্ছেন, তাদের জন্যে 🙂