সপ্নের রাজকন্যা

  Mahamudul Hasan Ayan || 05.04.2021 || 9:40AM

ভাইয়েরা তোমরা গুনবতি হাতুন(স্ত্রী) খুঁজে বিয়ে করে ফেলো। তোমরা হয়তো বলবে আমি একা আছি ভালো আছি ভাই। আমার নিজের জীবন আমি দিব্যি একাই কাটিয়ে দিতে পারবো। ভাই, তাহলে তোমার হৃদয়ের কী হবে? ভেবেছো কখনো!

হৃদয় পুরুষের একটি তলোয়ার। তুমি যদি এটাতে ধার না দেও, এর সঙ্গীতুল্য খাপের সাথে না রাখো, তাহলে একদিন না একদিন এতে মরিচা পড়ে যাবে, ভাই।
প্রত্যেক পুরুষি প্রথমে খাপছাড়া তলোয়ারের মত এবং একসময় প্রত্যেক মুমিন বান্দায় আল্লাহর ইচ্ছায় যোগ্য খাপ খুঁজে পায়।
তুমি বলবে আল্লাহর শুকরিয়া যে ঐ ভাই যোগ্য হাতুন খুঁজে পেয়েছে। ভাইয়েরা তোমরাও পাবে কিন্তু এর জন্য তোমাদেরও কিছু করতে হবে! তোমাদেরকে ভালো হাতুন খুজে নিতে হবে।
ভাইয়েরা, হাতুন মূলত চাররকম হয়। প্রথমটা হচ্ছে "ধ্বংসকারী", দ্বিতীয়টা হচ্ছে "বেখায়ালি", তৃতীয়টা হচ্ছে " কিছু বলা না বলা একই কথা" আর চতুর্থটা হচ্ছে "তোমার ঘরের স্তম্ভ"।
হায়! মাশ-আল্লহ, ধৈর্য ধর ভাই। আমি ব্যাখ্যা করছি।
প্রথমটা হচ্ছে ধ্বংসকারী এরা খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই নয়টা রুটি এক গামলা দইয়ের জন্য অপেক্ষা করবে, এমনকি মখ না ধুয়েই সে তার পেট ভর্তি না হওয়া পর্যন্ত শুধু খাবে। এরপর বুকে হাত রেখে চিৎকার করে বলবে "যখন আমি এই লোকের ঘরে এসেছি তখন থেকে আর খেতে পাইনা, আমার মুখে হাসি ফুটেনা, আমার হৃদয় প্রফুল্ল হয় না"। ভাইয়েরা কখনোই এধরনের হাতুন বাছাই করবেনা।
আরেকটা আছে "বেখেয়ালি", সে সকালে দ্রুত উঠে যাবে। তোমার গ্রামের এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে যাবে আর গল্পগুজব করবে। দুপুর গরিয়ে বিকাল হবে তার কোনো খোজ থাকবেনা। রাতে যখন সে ফিরবে তখন দেখতে পাবে তার ঘর পুরো উলট পালট হয়ে আছে। তখন সে নালিশ করবে প্রতিবেশীরা তোমরা কেনো আমার ঘরের দিকে নজর রাখোনি। এমনকি ভাই তোমাকেও ছাড়বেনা। ভাইয়েরা তোমাদের জীবনে এমন হাতুন যেন যায়গা না পায়।
তৃতীয়টা " কিছু বলা না বলা একই কথা"। ধরো, তোমার বাড়িতে কোনো সম্মানিত মেহমান এলো। তুমি তাকে বললে রুটি দিতে। অতঃপর সে তোমাকে বলবে "আটা নেই"। তারপর মুখ ঘুরিয়ে পেছনে ফিরে বসে থাকবে। তুমি হাজারবার বললেও কর্ণপাত করবেনা। ভাইয়েরা কখনোই এধরণের হাতুনকে হৃদয়ে স্থান দিওনা।
আর শেষেরটা!
আহ! ভাইয়েরা শেষেরটা এমন হাতুন যে, তোমার ঘরের খুটির মতো। সে এমন হাতুন যদি দূরদেশ থেকেও কোনো সম্মানিত অতিথি আসে এবং বাসায় যদি তার স্বামী নাও থাকে তবুও তাদেরকে আপ্যায়ন করে এবং খাদ্য পানীয় দিয়ে খুশি রাখে। সে তাদের সম্মান দেয়, অতঃপর সুন্দরভাবে তাদের বিদায় জানায়। হায়! মাশা-আল্লহ
সে তার স্বামীর অবর্তমানে স্বামীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকে এবং স্বামীর সম্মানে কখনো আঘাত লাগতে দেয় না।
তারা এমনি হাতুন যে, তারা অনুষ্ঠানে বাহারি খাদ্য তৈরি করতে পারে। আবার প্রয়োজন হলে তলোয়ারও(বিপদ মোকাবিলা করা) ঘুরাতে জানে।
আহ! ভাইয়েরা তারা এমনি হাতুন যে, হযরতে আয়েশা (রাঃ), হযরত খাদিজা (রাঃ), হযরতে ফাতিমা (রাঃ) কে অনুসরণ করে।

তারা অনেক লাজুক, শৃঙ্খলিত, সভ্য, মার্জিত নারী। ও আমার ভাইয়েরা, আল্লাহ তোমাদের এধরণের নারীই ভাগ্যে রাখুন।