৪ বছর পর বাংলাদেশে পা রাখলো অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম

 


আজ সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ টিম জিম্বাবুয়ে সফর শেষ করে ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে পৌঁছায়। আর একই দিনে বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়া টিমও বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় পাঁচ তারকা সোনারগাঁও হোটেলে এসে অবস্থান করে।

আপনারা জানেন যে, স্বাগতিক বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্যই অজিরা নানা প্রতিকূলতার পরও বাংলাদেশে এসেছে। 

এই করোনা কালীন সময়ে নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অস্ট্রেলিয়া টিম এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। বিসিবির প্রচেষ্টায় এখন পর্যন্ত বলা যায় যে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৩রা মার্চ সন্ধা ৬টায় আমরা সুন্দর শৃঙ্খলার মধ্য ‍দিয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার প্রথম টি-টুয়েন্টি ম্যাচ উপভোগ করতে যাচ্ছি।

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া কঠোর বায়োবাবলের সিদ্ধান্ত মেনে কতটা সুষ্ঠভাবে দল গোছাতে পারে বাংলাদেশ এখন সেটায় দেখার বিষয়। বাংলাদেশের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মত বড় দলগুলোর বিপক্ষে সিরিজ খেলাটা যেখানে অতি গুরুত্বপূর্ণ সেখানে তামিম, লিটন, মুশফিকের দলের বাইরে থাকা দলকে কতটা ভোগাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও একইভাবে নিয়মিত অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে হারানোর বেদনা ভুলে থাকাটা খুবই কষ্টকর হবে। 

সেই সাথে বাংলাদেশে নেই কোনো ব্যাকয়াপ প্লেয়ার। সোম্য আর নায়িমকে ওপেনিং এ রেখেই গঠন করতে হচ্ছে এগারো সদস্যের চূরান্ত দল। ওদের যেকোনো একজন ইনজুরিতে পরলে নেই কোনো ব্যাকয়াপ ওপেনার। ইনজুরি থেকে সদ্য ফেরা মুস্তাফিজ, আর বিশ্ব ক্রিকেটে সদ্য নাম লেখানো শামিম পাটোয়ারী কি পারবে তাদের ফর্মটা ঠিক রেখে দেশের জন্য আরো একটা চমক উপহার দিতে? যদিও মুস্তাফিজের ফুল সার্ভিস পাওয়া যাবে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। কিন্তু অন্যান্য বারের মতো এবার চাই লেই নতুন করে কাউকে দলে ঢুকানোর কোনো সুযোগ নেই। তাই লড়াইটা ক্রিকেটারদের হলেও সময়মতো টিম মেনেজমেন্ট বিষয়গুলো কি করে সামলাই, এখন সেটাই দেখার বিষয়।     

সামনেই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা। এর ফাঁকে এমন একটা ম্যাচের আয়োজোন সত্যিয় প্রশংসার দাবিদার। এই ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের শক্তিমত্তা গুলো একবার যাচায় করে নেওয়ার মত সুযোগ পাবে প্রতিটি দল। অস্ট্রেলিয়ার পর একে একে নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মত বাঘা বাঘা দল এসে পাড়ি জমাবে বাংলাদেশে। অর্থাৎ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের আর স্বস্তি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে। 

অস্টেলিয়া দলের পঁনোরো সদস্যর স্কোয়াডে অবস্থান করছে এস্ট্রনাগার, ওয়েলসাগার, জেসেন বিহানডো, অ্যালেক্স ক্যারি, ড্যান ক্রিশ্চিয়ান, জস হ্যাজেলুট, মুইচ হেনরিক্স, মিশেল মার্কস, বেন মেকডার্মন্ড, মিচেল স্টার্ক, রিলে মেরিনিথ, মিচেল জুইপসন, এন্ডো ক্লাই ও এডাম জাম্পার। এছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লান ম্যাক্সওয়েল, প্যাট কামিন্সদের মত নিয়মিত খেলোয়ারেরা খেলছেন না বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-টুয়েন্টি সিরিজে। অপরদিকে, বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সফরের অপরিবর্তিত টিম নিয়েই মাঠে নামবে শক্তিশালি অস্টেলিয়ার বিরুদ্ধে। 

অজিদের কঠোর শর্তের কারণে "আওয়ার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম" দলের বাইরে অবস্থান করলেও দলের জন্য  জানিয়েছেন শুভকামনা। সেই সাথে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এটা নতুনদের জন্য টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সবচাইতে বড় সুযোগ হতে চলেছে। অস্টেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৫ টি-টুয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে ৩,৪,৬,৭ ও ৯ আগোস্ট সন্ধা ৬টায়। সবগুলো ম্যাচ দেখার আমন্ত্রন জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি।