ভালোবাসার ছন্দ

 




   ভালোবাসার ছন্দ

   মাহামুদুল হাসান অয়ন


 ছন্দ আঁকি, ছন্দ লিখি

ছন্দ দ্বারা কথা শিখি।


বাংলার ছন্দ বাউল-কবি

মাটির ছন্দ সবুজাভ ছবি

ছন্দ আমার নান্দনিক কবি

ছন্দে ছন্দে গাইছি সবি।


ছন্দ! সে তো মনের মাঝি

কতইনা এর কারসাজি।


                                                                   যুদ্ধের ময়দানে ধরি বাজি

                                                             কতক হয় শহীদ কতক হয় গাজী

                                                                    ছন্দ সে-যে বড্ড পাজী।


আমার সৃষ্টি গান আর ছড়া

ছন্দ ছাড়া উদাস তারা,

আমার ছন্দে আমিই কবি

আমি ছাড়া যেন উদাস সবি।


ছন্দ তুই কি আমার হবি?

বলনা ছন্দ! তুই কি আমার হবি?


দুঃখের ‍দিনে সঙ্গ দিবি

সুখ-দুঃখের কথা কবি।


ছন্দ তুই যে ভাঙ্গা ঘরের আধখানা রবি

বলনা ছন্দ! তুই কি আমার হবি?


আধাঁর ঘরে আলো জ্বালাবি

জোনাকি হয়ে মন মাতাবি,

আপন করে নিজেকে নিতে তুিই শিখাবী।


জানিস, ছন্দ! তুই আমার রঙিন ছবি।

তাইতো তোকে এত্তো ভাবি-

রং তুলিতে আঁকছি সবই।

বলনা ছন্দ! তুই কি আমার হবি??



কবিতাটিতে ছন্দ দ্বারা রুপ কথার এক রাজকুমারীকে কল্পনা করা হয়েছে। পৃথিবীর মাঝে যখন নানা প্রকার ছন্দের আনাগোনা। তখন রুপকথার সেই ছন্দকে আর যায়না চেনা। কল্পনার ছন্দ নামের মেয়েটি কবিতার মতই নির্মল, নিষ্পাপ, সুন্দর আর নানা গুনে গুনান্বিত। তাই কবি হাজারো বাহানা আঁকে ছন্দকে কাছে পেতে। কবির সপ্নের মতো তার কল্পনার মেয়েটি। তাই কবি ভাবে কোনো একদিন কবি তার কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেবে এবং সেই সময় কবি কল্পনার মেয়েটির কাছ থেকে ভালোবাসার নানা উপমা শিখে নেবে।  জয় হোক ভালোবাসার। জয় হোক শত আশার। ভালো থাকুক ভালোবাসার প্রিয় মানুষগুলো।