সব বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অনুপ্রেরণা

 স্যার গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স বা গ্যারি সোবার্স স্যার আপনি সব বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অনুপ্রেরণা। আপনিই প্রথম ব্যাটসম্যান যিনি এক ওভারে ৬ টি ছক্কা মেরেছিলেন। আপনার একটি সুখী সুস্থ সুন্দর জীবন কামনা করছি।


যার কথা বলছি তার ২৮শে জুলাই জন্মদিন ছিল। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকাস্যার গারফিল্ড সেন্ট অব্রান সোবার্স বা গ্যারি সোবার্স যাকে সর্বকালের অন্যতম সেরা বাঁহাতি অলরাউন্ডার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

ফাস্ট বোলিং এবং স্পিন উভয় ভাবেই তিনি বোলিং করতে সমান পারদর্শী ছিলেন। ফিল্ডার হিসেবে তার পরিচিতি আর নায়বা বললাম। তবে উইকেটের কাছাকাছি ফিল্ডিং করতে তিনি বেশি পছন্দ করতেন। ১৯৫২-১৯৫৩ সালে ভারতের সাথে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার মাধ্যমে তিনি প্রথম ইতিহাসের পাতায় নাম লিখান। ১৯৫৩ সালের ৩১ জানুয়ারি, তিনি সর্বপ্রথম ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার জন্য ১১ ‍সদস্যের টিমে ডাক পান। প্রথম ম্যাচে ৯ নম্বরে ব্যাটিং করে অপরাজিত ৭ রান ও বোলিংয়ে মাত্র ৫০ রান খরচে ৪ উইকেট নিয়ে নির্বাচকদের নজরে আসেন।

এর ১ বছর পর আবার দলে ডাক পান। তখন মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন। খেলায় তিনি ৯ নম্বরে ব্যাটিং করে ৪৬ ও ২৭ রান করার পাশাপাশি দুই উইকেট লাভ করেন। এর ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কর্তৃপক্ষ তাকে টেস্ট ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্ত করে। সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গ্যারি সোবার্সের টেস্ট অভিষেক ঘটে ১৯৫৪ সালের ৩০শে মার্চ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪/৭৫ রান ও নয় নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে অপরাজিত ১৪* ও ২৬ রান সংগ্রহ করে দূর্দান্ত ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করেন। যদিও সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয়লাভ করতে পারেনি।

১৯৫৭-৫৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টের এক ইনিংসে সোবার্স অপরাজিত ৩৬৫* রান করেন। যে রান করার ফলে তিনি বিশ্বরেকর্ড করেন। যা ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অক্ষত ছিল। সর্বমোট নয়জন বাঁহাতি ক্রিকেটার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে এপর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। তরমধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে সর্বাধিক ৩৯ বার নেতৃত্ব দেন তিনি। এছাড়াও বাঁহাতি ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি সর্বাধিক টেস্ট রান সংগ্রাহক। তার সংগৃহীত ৮,০৩২ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ১৯৬৮ সালে ম্যালকম ন্যাশের এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে গ্যারি সোবার্স সর্বপ্রথম এক ওভারে ছয় ছক্কা হাকানোর বিশ্বরেকর্ড গড়েন।

২৬টি সেঞ্চুরি/৩০টি হাফ সেঞ্চুরির পাশাপাশি ৮,০৩২ রান করে তৎকালীন সময়ে বিশ্বরেকর্ডের মালিক হয়ে তিনি ক্রিকেট কে বিদায় জানান। যাকে প্রতিনিয়ত শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সারা বিশ্ব।