ছোট্ট পাখি

 



ছোট্ট পাখি

মাহামুদুল হাসান অয়ন


হঠাৎ বৃষ্টি ঝড়ে, পাতা নড়ে
ছোট্ট পাখি বকুল পাড়ে গল্প করে।
টুনটুনিরা একটু ডেকে আড়াল হলে
ছোট্ট পাখি মিষ্টি হেঁসে যায় চলে।

একটু পড়ে নীল আকাশে সুর্য ওঠে
রংধনুরা তা দেখতে যায় ছুটে,
ছোট্ট পাখি তুই বড্ড বেশি ফুটফুটে।

হঠাৎই মিষ্টি মধুর কোকিল ডাকে
হাওয়াই হাওয়াই কাশফুলেরা ছন্দ আঁকে,
ছোট্ট পাখি দূরে দাঁড়িয়ে দেখতে থাকে।

ছোট্ট পাখির দুষ্টুমির ওই জালের ফাঁকে,
প্রজাপতিরা একটু চেয়ে,
মিটমিটিয়ে হাঁসতে থাকে।

ছোট্ট পাখি বোঝায় তার মনটাকে,
"বাঁধন হারা ছোট্ট পাখি তুই বড্ড বেশি চটপটে"
ছোট্ট পাখির এমন করেই দিন কাটে।




জানালার ধারে বসে বৃষ্টির সৌন্দর্য দেখা আর যায় হোক অপরাধ তো নয়। সেখানে বৃষ্টির সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিতেই  একঝাক মানুষের বেশে পাখির আগমন। মনটা ছুয়ে যাওয়াই তো স্বাভাবিক। একদিকে বৃষ্টি আর অন্যদিকে মানুষ রূপি পাখিগুলোর লাল টকটকে ঠোঁটে অপরূপ হাঁসির ঢেউ। বুঝতে বাকি রইলোনা তাদের মধ্যে হলুদ পাখিটা বড্ড লাজুক। খুবই রূপবতী! দেখে বুঝা যায় তার চলার ধরন।  খুবই সুন্দর গায়ের গড়ন। কিন্তু বড্ড বেশি চটপটে। একটু পড়ে বৃষ্টি থেমে রংধনুরা দূর আকাশে যায় নেমে। শত সৌন্দর্যের মধ্যে তার ছায়া যেন পড়ছিলো আমার মনে। ছাদের কোনে দাড়িয়ে থাকা। পাশের ক্ষেতে কাশফুলেদের ছন্দ আঁকা। ঘরে বসে এর থেকে ভালো দৃশ্য আর কখনো কি যাবে দেখা।