সাত কাহিনী

 

 

সাত কাহিনী-১

মাহামুদুল হাসান অয়ন


সাতটা ‍দিন, সাতটা ক্ষণ

সাতটা রংধনু, সাতটা মন

সাতকে নিয়ে ভাবছি সারাক্ষণ।।


সাত রাজা সাত রাণী

কান ধরলাম! হয়েছে আমার মানহানী

সাত ঘাটের জল-পানি

লক্ষিটি, বুঝেছি তুমি বড্ড বেশী অভিমানী।


তাই বলছি তোকে দিব্যি শোন

হ্যাঁ! সাতকে নিয়ে আমি ভাবছি সারাক্ষণ।


আচ্ছা, তুই ই বল-

সাত ছেলে সাত মেয়ে

কেমন হবে দুষ্টু মেয়।


সাত রাজার সাতটা ধন

ছেলে মেয়ের হট্টোগোল।

সাত সেনাপতির বিচার বেশ

সাত ঘা মেরে করলো শেষ।


সাত রকম আহাজারি,

সাত কান্নার রকমারি,

কেমন হবে রাজকুমারী?


সাতের রাজ্যে এক আমিই রাজা

সাত রাজকুমারীর একই সাজা।


সাত রাজ্যের রাজ-রজনী

সাত সাপের এক মণি

সাতের দুনিয়ার হাজারো খনি


ভূবন কুমার! এটাই ছিল সাতের দুনিয়ার

রাজ কাহিনী।





ছোটবেলায় রাজা-রাণীর গল্প শুনতে খুবই ভালোবাসতাম। ঠাকুমার ঝুলি খুব প্রিয় ছিলো আমার। তাদের দেখেই শেখা। নিছক মজার ছলে, আপনাদের একটু  আনন্দ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। কবিতাটা লেখার সময় আমি ছাদে বসে রংধনু দেখছিলাম। রংধনুর সাত রং বেনিয়াসহকলা কে নিয়ে ভাবতে ভাবতে অদ্ভূদ ভাবে এই কবিতাটা তৈরি হলো আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কবিতায় একজন ছেলে ও একজন মেয়েকে কল্পনা করা হয়েছে। যেখানে মেয়েটি খুবই অভীমানী তাই ছেলেটি অভীমানী মেয়েটির রাগ ভাঙ্গাতে নানা রকম ছন্দ রচনা করতে থাকে। কিন্তু মেয়েটির অভীমানী মন শেষ পর্যন্তু ছেলেটির হাজারো বাহানার ছন্দের কাছে হেরে গিয়েছিলো কি না সেটা উপস্থাপন করা হয়নি। এখানে শুধু ছেলেটির রাগ ভাঙ্গানোর উপমা প্রদান করা হয়েছে। মেয়েটির অভিমানী মন শান্ত হয়েছিলো কিনা? তা জানতে অপেক্ষা করূন সাত কাহিনী-২ আসা পর্যন্তু। সে পর্যন্তু ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।